সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ার পল্লীতে আমড়া পাড়তে গিয়ে কার্তিক দাস (৫৫) নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মারা গেছেন। আজ ০৪ জুলাই ২০২৫ রোজ শুক্রবার সকালে উপজেলার শোভনা গাবতলা এলাকায় একটি গাছ থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। তিনি শোভনা কুন্ডুপাড়ার মৃত ফনিভুষণ দাসের ছেলে।
জানা গেছে, মৃত কার্তিক দাসের স্ত্রী ও ৩ সন্তানসহ পাঁচ জনের সংসার। তার মধ্যে বড় ও ছোট ছেলে এরা দু’জন ঠিক ভাবে চলাফেরা করতে পারে না। বসত-বাড়ি ছাড়া জমি-জমাও তেমন নেই। সংসার চালাতে পরের বাড়ি কাজ করাই ছিল একমাত্র আয়ের পথ। তাও ঠিকমত কাজ মিলতো না। এক ধরনের অভাবের মধ্যে খেয়ে না খেয়েই চলছিল তাদের সংসার। এরই মধ্যে বছর দুয়েক হল মেঝ ছেলে অমিত দাসকে নিয়ে শুরু করেন ক্ষুদ্র ব্যবসা। গ্রামে গ্রামে গিয়ে কিনতে থাকেন মানুষের গাছের আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, সবেদা ও আমড়াসহ যাবতীয় ফল। যা বাজারে বিক্রি করে ভালই রোজগার করতেন। ক্ষুদ্র এই ব্যবসার মধ্যে দিয়ে যথেষ্ট চলছিল দিনকাল। এরই মধ্যে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শুক্রবার সকালে আমড়া পাড়তে গিয়ে মারা গেছেন তিনি। শোভনা গাবতলা এলাকায় বিশ্বজিৎ মল্লিকের নিকট থেকে কেনা ছিল গাছের আমড়া। ভোর বেলায় উঠে চলে যান আমড়া পাড়তে। আর সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। তার এই আকশ্মিক মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশি প্রধান শিক্ষক কুমার পাল জানান, কার্তিক ও তার ছেলে অমিতের কাজ ছিল মানুষের গাছের ফল কিনে তা বিক্রি করা। ক্ষুদ্র এই ব্যবসাতে তাদের আয় রোজগার ভালই হচ্ছিল। এরই মধ্যে কার্তিক চলে গেল। সংসারে দুটো প্রতিবন্ধি ছেলে। এদিকে মেঝ ছেলে অমিতের একা পক্ষ্যে আয় করা সম্ভব না। তাই মনে হচ্ছে, কার্তিকের সংসারে আবারও দুঃখ নেমে এলো।