সাতক্ষীরার ৪টি আসনে ৩৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

সাতক্ষীরার ৪টি আসনে ৩৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার চারটি আসনে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীসহ ৩৭জন মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন।
এরমধ্যে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে ১২ জন, সাতক্ষীরা-২(সদর) আসনে ১১ জন, সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি -দেবহাটা-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে ৬ জন এবং সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনের প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন, জাসদের জেলা সভাপতি শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, ওয়ার্কার্স পাটি মনোনীত এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ-এমপি, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এড. ইয়ারুল ইসলাম, জাকের পাটির মো: খোরশেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান স্বতন্ত্র, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম স্বতন্ত্র, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম মুজিবুর রহমান স্বতন্ত্র, শেখ মো. আলমগীর মুক্তি জোট, মো. নুরুল ইসলাম স্বতন্ত্র, সুমি ইসলাম তৃণমূল বিএনপি ও সৈয়দ দিদার বখত জাতীয় পার্টি।
সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১১ জন। এ আসনে প্রার্থীরা হলেন-আসাদুজ্জামান বাবু আওয়ামী লীগ, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি স্বতন্ত্র, মো. আনোয়ার হোসেন এনপিপি, মো. আফসার আলী স্বতন্ত্র, শেখ ইফতেখার আল মামুন সুমন জাকের পাটি, মো. তৌহিদুর রহমান ওয়ার্কার্স পাটি, মো. আশরাফুজ্জামান জাতীয় পার্টি, মো. কামরুজ্জামান বুলু বিএনএফ, মোস্তফা ফারহান মেহেদী তৃণমূল বিএনপি, মো. আব্দুল আজিজ মুক্তিজোট ও এনসান বাহার বুলবুল স্বতন্ত্র।
সাতক্ষীরা-৩ (দেবহাটা-আশাশুনি-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৬ জন প্রার্থী। তারা হলেন-আ ফ ম রুহুল হক আওয়ামী লীগ, শেখ তরিকুল ইসলাম বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম-এল), মো. আব্দুল হামিদ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি), মো. মঞ্জুর হোসান জাকের পার্টি, রুবেল হোসেন তৃণমূল বিএনপি ও মো. আলিফ হোসেন জাতীয় পার্টি।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে ৮জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। প্রার্থীরা হলেন-মাসুদা খানম স্বতন্ত্র, আসলাম আল মেহেদী তৃণমুল বিএনপি, শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ কংগ্রেস, এসএম আতাউল হক আওয়ামী লীগ, এইচএম গোলাম রেজা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম), মিজানুর রহমান স্বতন্ত্র, শেখ ইকরামুল ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ও মো: মাহবুবুর রহমান জাতীয় পার্টি।

সাতক্ষীরার ৪টি আসনে ৩৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

সাতক্ষীরার ৪টি আসনে ভোটার ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন: বেড়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৩ জন

 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে ভোটার ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই জেলায় ভোটার ছিল ১৫ লাখ ৬০ হাজার ২৫১ জন। গত ৫ বছরে ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৩ জন। হিজড়া কমিউনিটির ভোটার আছেন ১২ জন।
এর মধ্যে সদর-২ আসনে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটার বেশি।
সাতক্ষীরা জেলা (আঞ্চলিক) নির্বাচন অফিসার আতিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪টি আসনে ৬০২টি ভোট কেন্দ্রে ৩ হাজার ৭১৮টি ভোট কক্ষ থাকবে। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ছিল ৫৯৭টি ও ভোট কক্ষ ছিল ৩ হাজার ৫০টি।
আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে এবার ভোটার ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন।
এর মধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ জন, নারী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ২২৮ জন ও হিজড়া ১২ জন। ৪টি আসনে ৬০২টি ভোট কেন্দ্র এবং ৩ হাজার ৭১৮টি ভোট কক্ষ থাকবে।
সাতক্ষীরা-১ তালা-কলারোয়ায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭২ হাজার ০৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৬ হাজার ০৮৭ জন, নারী ২ লাখ ৩৫হাজার ৯৫৪ জন ও হিজড়া ২জন।
সাতক্ষীরা-২ মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৬০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৯হাজার ২১৭ জন, নারী ২ লাখ ১হাজার ৩৮৮ জন ও হিজড়া ৩ জন।
সাতক্ষীরা-৩ আশাশুনি, দেবহাটা ও কালিগঞ্জের একাংশ) মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৩১ হাজার ৩৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২লাখ ১৮হাজার ২৪৬ জন, নারী ২ লাখ ১৩হাজার ১৩১ জন ও হিজড়া ৩জন।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের একাংশ) মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ১৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২লাখ ২৩হাজার ৪৩৪ জন, নারী ২ লাখ ১৮হাজার ৭৫৫ জন ও হিজড়া জন।
এদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ তালা-কলারোয়ায় মোট ভোটারের সংখ্যা ছিলো ৪ লাখ ২৩ হাজার ০৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১০ হাজার ৮৩৬জন, নারী ২ লাখ ১২ হাজার ১৯৭ জন।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৯জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৯১ জন, নারী ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭৮ জন।
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি, দেবহাটা ও কালিগঞ্জের একাংশ) আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৫হাজার ৪৭৮ জন, নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৮১২ জন।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের একাংশ) আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ৯৩হাজার ৬৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৭হাজার ৯৩৫ জন, নারী ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭২৪ জন।
এদিকে এবারই প্রথম পুরুষ ও নারী ভোটারের পাশাপাশি হিজড়া ভোটারও শনাক্ত করা হয়েছে। তবে কমিউনিটির অনেকেই ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন হিজড়ারা।
সাতক্ষীরার হিজড়া ও কলারোয়া পৌরসভার কাউন্সিলর দিথী খাতুন বলেন, ‘শুধুমাত্র কলারোয়ায় শতাধিক হিজড়া রয়েছে।পুরো জেলায় হিজড়া কমউনিটির সংখ্যা কয়েক শ’ তো হবেই। কিন্তু ভোটার তালিকায় মাত্র ১৪ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ অনেকে ফরম পূরণ করার সময় হিজড়া উল্লেখ করেননি। আবার এনআইডি কার্ড না পাওয়ায় অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। হয়তো যারা ভাতা পান তাদের নাম এখানে অর্ন্তভূক্তি হয়েছে।

মোংলা বন্দরের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

মোংলা বন্দরের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

 

আলোচনা সভা, বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন, কেককাটা, বন্দর ব্যবহারকারী ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান, বিদায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংবর্ধনা, কর্র্মকর্তা-কর্মচারীদের শুভেচ্ছা উপহার, দোয়া অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূর্চির মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে আজ ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ রোজ শুক্রবার সকালে মোংলা বন্দরের স্টাফিং এন্ড আনস্টাফিং শেড এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বিগত সরকারগুলোর অবহেলার কারণে মোংলা বন্দরের উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে মোংলা বন্দর সচল করার পদক্ষেপ নেয়। এক সময়ের মৃতপ্রায় মোংলা বন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মোংলা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর এই বন্দরের কর্মব্যবস্ততা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্দরে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকায় প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ করেছে। এ অঞ্চলের পরিবর্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। সবার মাঝে দেশের উন্নয়নে কাজ করার মানসিকতা থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর নানা উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর মাঝে উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। মোংলা বন্দরের আরো উন্নয়নে যা যা করা দরকার সবকিছু করা হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোঃ রফিকুল ইসলাম, ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিম চৌধুরী ও মোংলা কাস্টমস এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ সুলতান হোসেন খান। স্বাগত বক্তৃতা করেন মোংলা বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ শাহীনুর আলম। অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দরের সিবিএর সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন চৌধুরী বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, মোংলা বন্দরে ড্রেজিং চলমান থাকার ফলে সম্প্রতি ৬০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে প্রথমবারে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি মানা বন্দরে আগমন করে। প্রথমবারের মতো বন্দর জেটিতে ৮.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ বন্দরে ৮২৭টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করে ও ৯৯.০৫ লাখ মে.টন কার্গো, ২৬৫৮৩ টিইউজ কন্টেইনার হ্যাল্ডলিং এবং ১৩ হাজার ৫৭৬ টি গাড়ি আমদানি করে ৩০,২৪১,৬৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হয়েছে। বন্দরে পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে মেয়র বন্দর ব্যবহারকারী ২৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র, কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সম্মানান ক্রেস্ট এবং পিআরএল এ থাকা ৭০জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান এবং কর্র্মকর্তা-কর্মচারীদের শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন।

খুলনায় বিশ্ব এইডস দিবস পালিত

খুলনায় বিশ্ব এইডস দিবস পালিত

 

‘কমিউনিটির আমন্ত্রণ, এইডস হবে নিয়ন্ত্রণ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ রোজ শুক্রবার খুলনায় বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে সিভিল সার্জনের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম কামাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার হালদার, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ এমরান হোসেনসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করেন। এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাঃ সুদীপ্ত সরকার। সভা পরিচালনা করেন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
অতিথিরা বলেন, এইডস একটি মরণব্যাধি। এইডস প্রতিরোধে জনসচেতনতাই বেশি জরুরি। নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে এইডস প্রতিারোধ করা সম্ভব। বিভিন্ন কারণে একজন থেকে আর একজনের দেহে এইডস ছড়াতে পারে। বিশেষ করে চুলকাটার সেলুনগুলো সংক্রমণ হওয়ার বড় জায়গা। একজন মানুষও যেন এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত না হয় সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন। সারাবিশে^ প্রায় চার কোটি মানুষ এইডস রোগে আক্রান্ত। সরকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান অতিথিরা।
এর আগে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. সাদেকা হালিমকে # খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অভিনন্দন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. সাদেকা হালিমকে # খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অভিনন্দন

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম নিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য, সিনেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য এবং জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটি-২০০৯ এর সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রগতির পথে আরও এগিয়ে যাবে; যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী। একই সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। বিবৃতিতে উপাচার্য তাঁর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সার্বিক কল্যাণ কামনা করেন।

সাতক্ষীরার ৪টি আসনে ৩৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী সোহাগ মোল্লার পিতার মৃত্যুতে উপাচার্যের গভীর শোক

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী (ইনস্ট্রুমেন্ট) মো. সোহাগ মোল্লার পিতা মো. আব্দুল হাকিম মোল্লা আজ ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ রোজ শুক্রবার সকাল আনুমানিক ০৬টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি ৩ পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বাদ আছর নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে নিরালা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন ইসিই ডিসিপ্লিনে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী (ইনস্ট্রুমেন্ট) মো. সোহাগ মোল্লার পিতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
অনুরূপভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ইসিই ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও শোক প্রকাশ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী এস এম মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মন্ডলসহ পরিষদের সদস্যবৃন্দ।