এ্যাওসেড এবং কেয়ার বাংলাদেশ’র উদ্যোগে বহুমাত্রিক অংশীদারিত্ব জলবায়ু এবং দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থ এবং বীমা বিষয়ে জেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা

এ্যাওসেড এবং কেয়ার বাংলাদেশ’র উদ্যোগে বহুমাত্রিক অংশীদারিত্ব জলবায়ু এবং দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থ এবং বীমা বিষয়ে জেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা

 

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : বহুমাত্রিক অংশীদারিত্ব জলবায়ু এবং দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থ এবং বীমা বিষয়ে সাতক্ষীরায় জেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ সোমবার সকাল ১০টায় এ্যাওসেড’র বাস্তবায়নে শহরের কোরাইশী ফুড পার্ক অডিটোরিয়ামে প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় সুপারিশ ও মতামত প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও তালা কলারোয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ্যাওসেড নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফীন।
অবহিতকরণ সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা কার্যালয় সাতক্ষীরা’র উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারি পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসার মো. জাহারুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রকল্প উপস্থাপন করেন এ্যাওসেড প্রকল্প ব্যবস্থাপক হেলেনা খাতুন ও কেয়ার বাংলাদেশের হিউম্যানিটেরিয়ান এন্ড ক্লাইমেট এ্যাকশন প্রোগ্রাম’র টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর হিমাদ্রী শেখর মন্ডল, কেয়ার বাংলাদেশের হিউম্যানিটেরিয়ান এন্ড ক্লাইমেট এ্যাকশন প্রোগ্রাম ডেপুটি ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় দাস প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক ও এ্যাওসেড এবং কেয়ার বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এ্যাওসেড নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফীন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ডি-নথি বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ডি-নথি বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে ডি-নথির বিষয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম ভবনের মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাবে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও এপিএ টিম লিডার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।
এসময় তিনি বলেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অগ্রবর্তী অবস্থানে থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শীঘ্রই পেপারলেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। তিনি আরও বলেন, প্রথম পর্যায়ে প্রশাসনিক ভবনের অফিসগুলো ডি-নথি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ পর্যায়ে ৯টি ডিসিপ্লিনে ডি-নথি চালু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব ডিসিপ্লিন ও দপ্তরগুলোকে এর আওতায় আনা হবে।
আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মাসুদুল আলম ও ডি-নথি টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. সোহেল মাহমুদ শের। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী।
প্রশিক্ষণে রিসোর্স পারসন হিসেবে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল ইসলাম ও আইসিটি সেলের প্রোগ্রামার ইঞ্জি. রাহুল দেব মহালদার। প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ডিসিপ্লিনের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ ২৭ জন অংশগ্রহণ করেন।

খুলনায় স্থানীয় সরকার দিবসের সমাপনী

খুলনায় স্থানীয় সরকার দিবসের সমাপনী

 

জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও তিন দিনব্যাপী মেলার সমাপনী  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ মঙ্গলবার রাতে খুলনা শহিদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশন নাগরিকের সার্বিকসেবা প্রদান করে থাকে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রায় সকল ক্ষেত্রে মানুষ স্থানীয় সরকারের সেবার ওপর নির্ভরশীল। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র ও সেবার মান বৃদ্ধির তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে অচিরেই জনগণ শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামেই ভোগ করতে পারবে। বর্তমান সরকার সেবা সহজীকরণ এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর জন্য বদ্ধপরিকর।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী ও কেসিসির প্যানেল মেয়র মোঃ আলী আকবর টিপু। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে করে।
পরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও সিটি মেয়র তিন দিনব্যাপী মেলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী স্টল প্রতিনিধিদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

খুলনা বিভাগের প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা মানসম্মত করার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

খুলনা বিভাগের প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা মানসম্মত করার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

 

প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা মানসম্মত করার বিষয়ে মতবিনিময় সভা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালা  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ মঙ্গলবার সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা রাখতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাবান্ধব শ্রেণিকক্ষসহ মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুম চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য উপযোগী খেলার মাঠ গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, উন্নত বিশে^র সাথে তালমিলিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বর্তমান সরকার। এই সরকারের আমলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমেছে। সকল উপজেলার একটি করে ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজাওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, খুলনা এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোল্লা মোঃ শাহ নেওয়াজ ও ডিপিএইচই’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাহার উদ্দিন মৃধা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ মোসলেম উদ্দিন। কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অর্থ) এএইচ এম আবুল বাশার।
মতবিনিময় এবং কর্মশালায় বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, ডিপিএইচই’র নির্বাহী প্রকৌশলী, পিটিআই এর সুপারিনটেনডেন্ট, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ অংশ গ্রহণ করেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

 

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ মঙ্গলবার বিকাল ৫.৩০ মিনিটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। উপাচার্য রাষ্ট্রদূতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় ইইউ রাষ্ট্রদূত উপাচার্যকে স্মারক উপহার দেন। উপাচার্যও তাঁকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট, সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকার ওপর প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্টাডিজ, প্রসপেক্টাস উপহার প্রদান করেন।
পরে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, গত ৩৩ বছর ধরে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ২০৪১ সালের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে দেশ ও জাতির চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষ ও যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে চলছে। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশসমূহ এবং ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যান। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এক্সচেঞ্জ, এমওইউ’র কথা উল্লেখ করেন উপাচার্য। বিভিন্ন দেশের সাথে যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সুন্দরবন আমাদের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও এই উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ, বনজ ও মৎস্যসহ বিভিন্ন সম্পদ নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানামুখী গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া সরকারের অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশন্যাল এগ্রিকালচার রিসার্চ (এসিআইএআর) এর সাথে খুবির চলমান গবেষণার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উপাচার্য। এর মধ্যে ‘এসিআইএআর প্রজেক্ট বাংলাদেশ সুন্দরবন ইকোসিস্টেম ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক এ প্রকল্পটি ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কিউএস র‌্যাংকিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের এপিএ র‌্যাংকিংয়ে এ বছর ৪র্থ অবস্থানে উঠে এসেছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আনন্দের বিষয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ছাদে স্থাপিত সোলার প্যানেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম ওবিই কারিকুলা প্রণয়ন, একই একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ, প্রতিবছর ৪-৫টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সবসময় উৎসাহিত ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রতিবছর ইউরোপে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং চলমান বিভিন্ন গবেষণাকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য ইইউ রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ভ্রমনের পরামর্শ দেন।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জুই চাকমা, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নবীন শিক্ষার্থীদের ৫ দিনব্যাপী একাডেমিক কর্মশালা সমাপ্ত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নবীন শিক্ষার্থীদের ৫ দিনব্যাপী একাডেমিক কর্মশালা সমাপ্ত

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ৫ দিনব্যাপী একাডেমিক কাউন্সেলিং এন্ড মোটিভেশন শীর্ষক কর্মশালা সমাপ্ত হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ মঙ্গলবার সকাল ৯.১৫ মিনিটে কর্মশালার পঞ্চম দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষকরা শুধুমাত্র তোমাদের জ্ঞানগৃহের দরজা খুলে দিতে পারে, পথ দেখাতে পারে। এই পথে চলা ও জ্ঞানের গৃহে প্রবেশ করার দায়িত্ব তোমাদের। স্কুল-কলেজ জীবনে পিতা-মাতা লেখাপড়ার খেয়াল রাখলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের তোমার খেয়াল তোমাকে রাখতে হবে। আমি আশাবাদ ব্যক্ত করি- শিক্ষাজীবন শেষে পরবর্তী জীবনে তোমরা সকল ক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রাখবে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বদা কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার সম্মানিত শিক্ষকরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম দক্ষ ও দেশপ্রেমিক জনশক্তি তৈরিতে সর্বদা সচেষ্ট। এখানে স্নাতক ও মাস্টার্স প্রোগ্রামে একই একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে সব ডিসিপ্লিনে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া হয়। নিজেকে বিকশিত ও নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ করার জন্য এখানে শিক্ষার্থীদের অনেক সংগঠন রয়েছে। যাতে সম্পৃক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা দক্ষ দেশপ্রেমিক ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
পরে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথাগতভাবে নবাগত শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। উক্ত শপথবাক্যে সন্ত্রাস, ছাত্ররাজনীতি, র‌্যাগিং ও মাদককে না বলার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিন (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী ও বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধানবৃন্দ এবং নবাগত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্য রিসোর্স পারসন হিসেবে ‘কী টু সাকসেস ইন হায়ার এডুকেশন’ শীর্ষক একটি সেশন উপস্থাপন করেন। এছাড়াও কর্মশালায় ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রউফ ‘টিচিং লার্নিং অ্যাপ্রোচেস ইন হায়ার এডুকেশন’, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আহসানুল কবির ‘এডুকেশন সিস্টেম, রুলস এন্ড রেগুলেশন্স ইন কেইউ’, ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আজহারুল ইসলাম ‘এক্সেস টু রিসোর্স, ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি ইন কেইউ’ এবং নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত ‘স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিসেস ইন কেইউ’ শীর্ষক সেশনসমূহ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালাটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষে ভর্তিকৃত নবাগত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সফলতা অর্জনের বিভিন্ন দিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়মকানুন, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, শিষ্টাচার, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন দিকে আলোকপাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন মুদ্রিত সমন্বিত প্রসপেক্টাস বিতরণ করা হয়। কর্মশালার পঞ্চম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল এবং বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের আওতাধীন ডিসিপ্লিনসমূহের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।