এসএম শহীদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় একইদিন পৃথক ঘটনায় দু’জন খুন হয়েছেন। জেলার কলারোয়া ও শ্যামনগরে এ খুনের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের বলিশানপুর উত্তরপাড়া গ্রামের এবাদুল ইসলাম (৬২) ও শ্যামনগর উপজেলার
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের খোসালখালী গ্রামের আব্দুল হামিদ মালির ছেলে আবুল হোসাইন (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে বাড়ির পাশের জমি নিয়ে প্রতিবেশী হযরত আলীর সঙ্গে এবাদুল হকের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিলো। এরই জেরে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে এবাদুল হক ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ হযরত আলীর লোকজন। তারা এবাদুল হক ও তার পরিবারের আরো ৫ সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় এবাদুল হককে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার ফয়সাল জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা গেছেন।
কলারোয়া থানার ওসি মোহামদ শাহিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে একইদিন ভোররাতে শ্যামনগরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী খাদিজা খাতুনের হাতে স্বামী হোসাইন (৩০) খুন হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, ঘুমিয়ে থাকা স্বামী আবুল হোসাইনকে জবাই করে পালিয়ে যায় খাদিজা খাতুন।
পরিবারের বরাত দিয়ে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে সোমবার ভোররাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী খাদিজা তাকে জবাই করে পালিয়ে যায়। ভোরের দিকে স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হতে বিআরটিসি বাস যোগে খুলনা যাওয়ার সময় তার কথাবার্তা ও আচরণ অস্বাভাবিক মনে হলে বাসের সুপারভাইজার তাকে খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের কাছে হস্তান্তর করে। ছাত্র সমাজের কাছে খাদিজা স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে খাদিজাকে খুলনা হরিনটানা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডাক্তার সঞ্জিদ দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শ্যামনগর থানার কার্যক্রম চালু না থাকায় একজন উপ-পরিদর্শকের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।