দক্ষিন বাংলা ডেস্ক : খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে যোগদান করলেন শেখ জযনুদ্দিন পিপিএম। তিনি ২০০৫ সালে এএসপি হিসেবে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। ইতিপূর্বে তিনি মেহেরপুর জেলা সদর ও সার্কেল, পাবনার জেলার ঈশ্বরদী সার্কেল, রাঙ্গামাটির লংগদু সার্কেল, পুলিশ একাডেমি, সিআইডি, খুলনার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং তিনি দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত থেকে গত বছরের ২০ আগষ্ট পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে সর্বশেষ পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্ব পালন করে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারসহ ক্লুলেস মামলা রহস্য উদঘানের কারণে তিনি প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক সেবা ও আইজিপি ব্যাচ পদক প্রাপ্ত হন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন কঙ্গোতে দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ খুলনার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে খুলনার আর্মড পুলিশ ব্যটেলিয়ন হতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশে কেএমপিতে দায়িত্ব পালন করে প্রশংসা অর্জন করেন। জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে ৩ থেকে ৫ আগষ্ট কেএমপিতে দায়িত্ব পালনকালে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তাকে ওয়ারলেস বেতারের মাধ্যমে আদেশ প্রদান করলেও ফিল্ডের বাস্তব পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি আন্দোলনকারীদের উপরে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ থেকে বিরত থেকে দায়িত্বপালন করেন। তৎকালীন পুলিশ কমিশনার তাকেসহ টিমের সকলকে ওয়ারলেস বেতারের মাধ্যমে ক্লোজ করার আদেশ দেন একইসাথে তার চাকুরীচ্যুতির সতর্কবার্তা প্রদান করেন। একদিকে চাকুরী অন্যদিকে জনগন ও ফোর্সের জানমালের নিরাপত্তা। তিনি নিজের চাকুরী চ্যুতির কথা চিন্তা না করে আন্দোলনকারী ও সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সদের জানমালের কথা বিবেচনা করে ফিল্ডের প্রকৃত অবস্থা বিবেচনা করে আন্দোলনকারীদের উপর সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকেন। তৎকালীন খুলনার সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ন স্থানে দায়িত্বপালনকালে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে খুলনার আন্দোলনকারী ও পুলিশ সদস্যদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো বলে খুলনাবাসী মনে করেন।