আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা আসমাউল হুসনা ওরফে আসমার বিরুদ্ধে সরকারি চাউল ও প্রতিবন্ধীদের অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ এবং সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ০৫ অক্টোবর ২০২৫ রোজ রবিবার বেলা ১১ টায় ফুলতলা বাজারে প্রধান সড়কে ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনসাধারন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। দাবি না মানা হলে আজ (সোমবার) সকাল ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত প্রতিকী অনশন কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিয়ার রহমান, মোঃ কারিমুজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক উপজেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি নূর ই আলম সিদ্দিকী, ভিকটিম আব্দুস সালাম, ন্যাচার কনজারভেশন ভলেন্টিয়ার টিম পরিচালক মাসুম বিল্লাহ, ভিকটিম বেদানা পরামাণিক, আব্দুর রাশিদ সানা প্রমুখ।বক্তারা বলেন, পরিষদের তথ্য উদ্যোক্তা আসমাউল হুসনার কাছে জন্ম নিবন্ধন এর জন্য গেলে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নাম ঠিকানায় ভুল করেন। এরপর ভুল সংশোধনে গেলে বারবার তাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিসে সরকারের ধার্যকৃত ফিসের অতিরিক্ত টাকা না দিলে তিনি কাজ করে দেন না। পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে তিনি নিজে ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হয়েও ভুয়া ঠিকানা দিয়ে ১ নং ওয়ার্ড থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভিডব্লিউবি এর চাউল তুলেছেন। গোকুলনগর গ্রামের নার্গিস পারভীনের নামে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা ২০১৭ সাল থেকে সে তার মায়ের ব্যবহৃত ফোন নম্বর বসিয়ে উত্তোলন করে চলেছেন। এ ঘটনায় আসমার বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় সাধারণ ডায়রি করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ৩ নং ওয়ার্ডের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের ভিডব্লিউবি তালিকায় নাম ছালমিন নাহার এর, তাতে ছবি সংযোজন করা হয়েছে আসমার আপন বোন আরিফার আর নিজের মোবাইল নাম্বার বসিয়ে চাউল উত্তোলন করে চলেছেন আসমা। আসমার খালাতো ভাবি সাহিদা খাতুন শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা থাকাকালীন তাকে কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেখিয়ে তার নামে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ভিডব্লিউবি এর চাউল তুলে নিয়েছেন। চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালীর প্রশ্রয়ে আসমা এরকম শত শত অপরাধ করে আসলেও কেউ কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। যখন যে দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে আসমা তার অদৃশ্য ক্ষমতাবলে সেগুলো উড়িয়ে দিয়ে এখনও বহাল তবিয়তে ইউনিয়ন পরিষদে বসে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন। আসমার বিরুদ্ধে দুদক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ হয়নি বরং তিনি উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। শত শত মানুষের মানববন্ধন, বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও তাকে সরাতে না পারায় ক্ষুব্ধ জনগণ তাকে বহিষ্কারের দাবিতে এবার প্রতিকী অনশন এর কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ফুলতলা বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।