দক্ষিন বাংলা ডেস্ক : বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম শুভ ইচ্ছে পূরণ করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পায়ে হেঁটে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এজন্য তাকে পাড়ি দিতে হবে ৩০০ কিলোমিটার পথ। ৯ জানুয়ারি রওনা হয়েছেন তিনি। এখন তার অবস্থান নারায়ণগঞ্জে।
ভ্রমণকারীরা বলছেন, নতুন করে দেশ ভ্রমণের জন্য হাইকিং দিন দিন এ প্রজন্মের কাছে বেশ রোমাঞ্চকর বিষয় হয়ে উঠছে। শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তি আর মনোবল থেকেই যে শত শত কিলোমিটার পাড়ি দেয়া যায়। পায়ে হেঁটেই ৩০০ কিলোমিটার পথ চলা চ্যালেঞ্জিং এবং শক্ত মনোবল দরকার।
শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, প্রথমে ৩০০ কিমি পায়ে হেঁটে বাসায় যাব এ রকম কোনো প্ল্যান ছিল না। তবে পরিবেশ বা ফিটনেস রিলেটেড কোনো স্লোগানকে সামনে নিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পায়ে হেঁটে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু এত বড় একটা ইভেন্টে সফল হবো কিনা এ নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম। হঠাৎ একদিন মাথায় আসল যে চবি থেকে আমার গাজীপুর আমার বাড়ি পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার। এ রকম ইভেন্ট (হাইকিং) মানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাজীপুর পায়ে হেঁটে এখন পর্যন্ত কেউ করে নাই। সেই সময়ই সিদ্ধান্ত নিলাম এই ইভেন্ট আমি করব।
তিনি আরও বলেন, গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে হাঁটা শুরু করি এখন আমার অবস্থান নারায়ণগঞ্জে। প্ল্যান বলতে এই হাইকিং এ যদি সফল হয় তবে আমার নেক্সট টার্গেট টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। আসলে এইভাবে কখনো হেঁটে এত পথ পাড়ি দেওয়া হয় নাই। তবে বাংলাদেশে একেক অঞ্চলের একেক সংস্কৃতি, ভাষা, আচার ব্যবহার খুবই উপভোগ করছি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ (৩য় বর্ষ) শিক্ষার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক বলেন, শুভ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোটভাই। পরিবেশ প্রকৃতি মানুষ ও আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রতি টান আছে তার। পথ প্রান্তর ঘুরে কাছ থেকে মানুষ ও তাদের জীবন যাপন দেখা সে উপভোগ করে। তার ৩০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গাজীপুর যাত্রা বড় মানসিক শারীরিক সাহসের পরিচয়। এমন পায়ে হেঁটে যাত্রার মাধ্যমে মানুষ ধৈর্য সাহস সংযম বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা ও বিচিত্র অভিজ্ঞতার সুযোগ আছে। শুভর এই সাহসী সিদ্ধান্ত আমাদেরও উদ্ধুদ্ধ করছে।