আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা খেয়াঘাট সংলগ্ন মরিচ্চাপ নদীর চরভরাটি ১নং খাস খতিয়ানের ৩০ শতাংশের মতো জমি অবৈধ স্থাপনা ও মূল নদী খননের ওয়াপদা রাস্তা কেটে ও পাকা সিমানা পিলার দিয়ে জবর দখল করার চেষ্টা করছে তেতুলিয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার সরদারের মেজপুত্র যুব স্বেচ্ছাসেবক লীগের বড়দল ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ভূমিদস্যু আল আমিন হোসেন। ইতিপূর্বে ক্ষমতার বলে সে অবৈধভাবে ১২ শতাংশ জায়গায় ১টি দ্বিতল ভবন ও খাস জায়গায় পাকা স্থাপনা তৈরি করে জবরদখল করে রেখেছে। ৫ ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলেও থেমে নেই তার ভূমিদস্যুতা। মরিচ্চাপ নদী খনন করাতে চরভরাটি জায়গা বের হওয়ায়, পুনরায় ওয়াপদা রাস্তা কেটে রাতের আধারে খাস জায়গা পাকা স্থাপনা তৈরি করে জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। আর এতে ইন্ধন যোগাচ্ছেন বড়ডাল ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ। এতে করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন এলাকা সচেতন মহল।
সোমবার দিবাগত রাতের আঁধারে পাকা স্থাপনা তৈরি করার সময় গোয়ালডাঙ্গা বাজার কমিটির তরফ থেকে একাধিকবার তাকে নিষেধ করা হলেও সে কোন কর্ণপাত না করে কাজ অব্যাহত রাখে। রাতের আঁধারে এহনো কর্মকান্ড দেখে সাধারণ জনগণের ভিতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এস আই মোমরেজ হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠান, তবে প্রশাসন আসার খবর পেয়ে কাজ বন্ধ করে ভূমিদস্যু আল-আমিনসহ তার সাঙ্গোপাঙ্গরা পালিয়ে যায়। প্রশাসন ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে আলামিন ও শরীফ কে ডেকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
তবে পুনরায় ভূমিদস্যু আলামিন কাজ চালিয়ে যাওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, অবৈধ অয়াপদা কেটে জবরদখল বন্ধ করার, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গোয়ালডাঙ্গা বাজারের পিছনের চর ভারাটি খাস জায়গা আওয়ামী ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাবে তাই, এখনো কর্মকান্ডের বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।