Friday, June 27, 2025

ভুঁড়ি খাওয়ার আগে যে তথ্য জানা জরুরি

Must read

 

দক্ষিন বাংলা ডেস্ক : কুরবানি গরু কিংবা খাসির ভুঁড়ি খেতে বেশ সুস্বাদু । এছাড়া বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদানেও ভরপুর এ খাবার। এতে আছে সেলেনিয়াম, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি১২ সহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে ভুঁড়িতে। তবে অতিরিক্ত খেলে আবার স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন কেউ কেউ। এজন্য ভুঁড়ি খাওয়ার আগে কিছু তথ্য জেনে নিন।

ভুঁড়িকে বলা হয় লিন প্রোটিন বা চর্বিহীন প্রোটিন। শরীরে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত করতে এবং পেশী তৈরি করতে সাহায্য করে প্রোটিন। প্রতি তিন-আউন্স পরিমাণ ভুঁড়িতে থাকে ১০ গ্রাম প্রোটিন, যা দৈনিক গড় চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ।

প্রোটিনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরপুর ভুঁড়ি। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন ১২ সহ বেশ কিছু উপকারী উপাদানের দারুণ উৎস ভুঁড়ি। এগুলো আমাদের সুস্থতায় অবদান রাখে।

মাংসের চাইতেও ভুঁড়িতে কোলেস্টেরলের অত্যাধিক। তিন আউন্স ভুঁড়ি থেকে প্রায় ১০৮ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল মেলে, যা দৈনিক কোলেস্টেরলের চাহিদার প্রায় তিনগুণ বেশি।

উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভুঁড়ি খাওয়া উচিত নয়।

এছাড়া গরুর এ অংশে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে। তাই ভুঁড়ি ঠিকমতো সেদ্ধ ও রান্না করে না খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে যায়।

লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন, স্নায়ু সংক্রমণ এবং শক্তি উৎপাদনের জন্য ভিটামিন বি১২ অপরিহার্য। কোষ বিভাজন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কার্বোহাইড্রেট বিপাকের জন্য জিঙ্ক অত্যাবশ্যক। এগুলো সবই মিলবে ভুঁড়িতে।

সেলেনিয়ামের একটি চমৎকার উৎস ভুঁড়ি। ডায়েটে পর্যাপ্ত সেলেনিয়াম থাকলে হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব এবং আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমে।

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article