সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : এলাকা উপযোগী আমন ধানের জাত নির্বাচনের লক্ষ্যে বটিয়াঘাটায় অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী এক কৃষক মাঠ দিবস। মিজরিও-জার্মানীর সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ এবং গঙ্গারামপুর কৃষক সংগঠনের আয়োজনে আজ ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার ১১৪ জাতের ধান গবেষণা প্লটে ধানের র্যাংকিং শেষে গঙ্গারামপুর দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গণ মাঠে কৃষক মাঠ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব হোসনে আরা তান্নী’র সভাপতিত্বে এবং লোকজ-এর নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মোঃ সাজ্জাদুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে খুলনা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার সাবেক উপপরিচালক কৃষিবিদ পঙ্কজ কান্তি মজুমদার, এলজিইডি কন্সালট্যান্ট প্রকৌশলী পংকজ কুমার বিশ্বাস, বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুবকর সিদ্দিক, দৈনিক ডেইলী স্টার খুলনা প্রতিনিধি দীপংকর রায়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নবনীতা দত্ত, কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ মন্ডল এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজীব বিশ্বাস।
মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিভাষ মন্ডল, কৃষক প্রতিনিধি নিকুঞ্জ বিহারী সরকার, মো: ফজলুর রহমান লাভলু, আরুণি সরকার, প্রনব গোলদার, মো: মাসুদ বিশ্বাস, আশীষ মন্ডল, শেখ খোসরুল আলম, শ্যামল সরকার, মো: শুকুর খন্দকার প্রমুখঃ। মাঠ দিবসের কর্মসূচিতে বটিয়াঘাটা সদর, গঙ্গারামপুর, সুরখালী ও ভান্ডারকোট ইউনিয়নের ৩০টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারীরা আমন ধানের জাত নির্বাচন, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে ১১৪ প্রজাতির স্থানীয় প্রজাতির ধানের পিভিএস প্লট পরিদর্শন করে র্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এলাকা উপযোগী ২১টি ধানের জাত নির্বাচন করেন। প্লটের ১১৪ জাতের আমন ধানের মধ্যে নির্বাচিত জাতগুলোর হলো: মন্তেশ্বর, বেনাঢোল, বাঁশফুল বালাম, কিরণশাইল, মরিচশাইল, মঘাইবালাম, রুপেশ্বর, জটাইবালাম, রানী স্যালোট, বেনাপোল, কলমীলতা, স্বর্ণা, কুমড়াগোড়, যাজিনী মোটা, কইজুড়ি, গোপালভোগ, কাঁচড়া, হাতিবজড়। এছাড়া নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে লোকজ ধান, আলোধান, আরুণি ধান কৃষকরা বেশি পচ্ছন্দ করেছেন।
স্থানীয় ধানগুলোকে আমাদের বীজ নিরাপত্তার জন্য রাখতে হবে। স্থানীয় ধানবীজ বিতরণের মাধ্যমে সংরক্ষিত ১১৪ প্রজাতির ধান সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখায় স্থানীয় কৃষক ও অতিথিরা লোকজ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।