Friday, November 28, 2025

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএস ডিসিপ্লিনে গবেষণা প্রকল্পের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত

Must read

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণার অগ্রযাত্রায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশংসার দাবি রাখে। বিশেষ করে সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার নানাবিধ সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সফল হচ্ছেন। এসব গবেষণা হতে হবে ফলাফলভিত্তিক। বিশেষ করে জনস্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত গবেষণার ফলাফল প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে এগুলো পলিসি মেকারদের সামনে তুলে ধরতে হবে। যাতে দায়িত্বশীল পর্যায়ে থেকে গবেষণালব্ধ ফলাফলকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
১১ নভেম্বর ২০২৪ রোজ সোমবার বেলা ১১.৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স (ইএস) ডিসিপ্লিনে ‘বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চাষকৃত শাকসবজি, তেলাপিয়া ও চিংড়িতে ভারী ধাতু দূষণ: সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি হাইলাইট করার জন্য একটি গবেষণা’ এর ওপর আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শাকসবজি, চিংড়ি ও তেলাপিয়া মাছ চাষে সার এবং ফিড ব্যবহারের কারণে ভারী ধাতুর মিশ্রণ হচ্ছে। যা খাদ্যের সাথে মানবদেহে প্রবেশ করে। যেসব খাবারে ভারী ধাতু রয়েছে সেগুলো দীর্ঘদিন খেলে ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ সমস্যা বিশ্লেষণ ও সমাধানের জন্য মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে। এগুলো সম্পর্কে প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীদের সচেতন করতে হবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশিদ খান। তিনি বলেন, শাকসবজি ও মাছচাষে ভারী ধাতু ব্যবহারের কারণে মানবদেহের ক্ষতি হচ্ছে। মরণঘাতী ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। অনেক সময় দেখা যায়- তেজস্ক্রিয় পদার্থ সমুদ্র বা পানিতে ফেলার কারণে তা মাটি ও পানিতে মিশে যাচ্ছে। পরবর্তীতে মাছ ও উদ্ভিদের মাধ্যমে তা মানবদেহে প্রবেশ করছে। এটি নিয়ে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি গবেষণা প্রয়োজন। যাতে গবেষণার মাধ্যমে এর ক্ষতিকর দিকগুলো উঠে আসে।
সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নুরুন্নবী। অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ। সেমিনারে মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্পের মুখ্য গবেষক প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. মুজিবর রহমান। গবেষণালব্ধ ফলাফল পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্পের রিসার্চ ফেলো সজিব রায়।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলাম, ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. গোলাম হোসেন, কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আমিরুল খসরু, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কানিজ ফাহমিদা প্রমুখ। এ সময় জীববিজ্ঞান স্কুলভুক্ত বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article