Friday, June 27, 2025

খুলনায় ডেঙ্গু এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

Must read

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত কমিটিগুলো সক্রিয় করতে হবে। হাসপাতালগুলোর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বেডগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সবাইকে সচেতন করতে হবে। এছাড়া করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গণমাধ্যমে এবিষয়ক প্রচারে গুরুত্ব দিতে হবে।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার আজ ১৬ জুন ২০২৫ রোজ সোমবার দুপুরে তার সম্মেলনকক্ষে ডেঙ্গু এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তৃতায় একথা বলেন। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। এবিষয়ে সকল দপ্তরকে অবহিত করতে হবে। বাইরে বের হলেই সকলকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। বাড়ির চারপাশ, ড্রেনসহ সকল জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এবিষয়ে অবহিত করা হবে।
খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোঃ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোঃ গোলাম মাসুদ, বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহিন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, পরিচালক, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. অপর্ণা বিশ^াস এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সহকারী পরিচালক ডা. এস এম শাহরিয়ার।
সভায় জানানো হয়, ২০২৫ সালে খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে। ১০ জুন পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ১০ জেলার একশত ৬২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে দুই জন রোগী মারা গেছে। ডেঙ্গু জ¦রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, উচ্চ জ¦র, তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, পেশী অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, বমি বমি ভাব ও বমি, ত্বক লালচে ফুসকুড়ি, অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা ইত্যাদি। ডেঙ্গু রোগ থেকে রক্ষা পেতে দিনে ও রাতে বিশ্রামের সময় মশারি ব্যবহার করা ও শরীরে মশা প্রতিরোধোক লোশন ও স্প্রে লাগানো যেতে পারে। হালকা রঙের পোশাক পরা এবং শরীর ঢাকা পোশাক পরলে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া বাড়ির ফুলের টব, ফ্রিজে জমা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাব/নারিকেলের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল ও আশে পাশে পড়ে থাকা পাত্রে জমে থাকা পানি তিন দিনের মধ্যে ফেলে দিতে হবে। বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টন লক্ষণসমূহ: জয়েন্টেব্যাথা, মাথাব্যাথা, গলাব্যাথা, পিঠেব্যাথা, নিউমোনিয়া ও ক্ষুধা হ্রাস। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম এড়িয়ে চলা, আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। হাচি বা কাশির সময় টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা, ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে (কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড) হাত ধুতে হবে কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article