সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর শিক্ষকগণ। এই কর্মসূচির আয়োজন করে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
০৪ জুন মঙ্গলবার কুয়েট শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল হাসিব। সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পলাশ সাহা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাঈম হাসান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. এম. এম. তওহিদ হাসান, মেকানিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ হেলাল আন নাহিয়ান ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।
এছাড়া, সার্বজনীন পেনশন স্কীম বিধিমালা, ২০২৩ এর প্রজ্ঞাপন হতে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়সমূহের অন্তভূক্তি প্রত্যাহারের দাবিতে আজ ০৪ জুন ২০২৪ রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের সামনে মানববন্ধন ও মৌন মিছিল করেছে অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতি।
এসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেন, একই বেতনস্কেলে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি অবলম্বন সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। এর মাধ্যমে একটি রাষ্ট্র একই শ্রেণীর কর্মচারীর একটি নির্দিষ্ট অংশকে সুবিধাবঞ্চিত করবে। একই বেতনস্কেলে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীও প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি অবলম্বন সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। এ সময় বক্তারা প্রত্যয় স্কিম বাতিল করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরহস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যেখানে একটা পেনশন ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছেন সেখানে নতুন করে অন্য একটি বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিমে তাদের অন্তর্ভূক্তির ফলেসরকারি অন্যান্য চাকুরিজীবী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য বাড়াবে।এই পেনশন ব্যবস্থার ফলে ভবিষ্যতে মেধাবীরাবিশ^বিদ্যালয়ে যোগদানে উৎসাহ হারাবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরটেকসই ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন গভীর অন্তরায় হবে।বক্তারা অবিলম্বে সর্বজনীন পেনশন স্কিম হতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অন্তর্ভূক্তিপ্রত্যাহারেরপাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রনয়ণ ও সুপারগ্রেডপ্রদানের দাবি জানান।