আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের গোয়ালডাঙ্গা আঞ্চলিক কার্যালয় দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ৯ টায় গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত তাবারক সরদারের পুত্র মিজানুর সরদার, বাঁশ, খুটি এনে পরিষদের নির্মাণাধীন ভবন দখলের চেষ্টা করে। পরিষদের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে এমন কথা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক শত শত সাধারণ জনতা সেখানে উপস্থিত হয়। পরিস্থিতি সামলাতে বড়দল ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম বকুল, জামায়াত ইসলামীর বড়দল ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারি সেকেন্দার আলী, গোয়ালডাঙ্গা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন ফকির, সমাজসেবক আল-মাহমুদ টিক্কা সহ এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গারা পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এ বিষয়ে বড়দল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আনিচুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ইউনিয়ন পরিষদের নামে ১০শতক জমি রেকর্ড আছে এবং সেখানে পরিষদের ভবন নির্মাণাধীন এটা ইউএনও স্যারকে আমি অবহিত করেছি।
উল্লেখ্য গোয়ালডাঙ্গা বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মানের জন্য ২৯/০৯/১৯৬৪ সালে তদানীন্তন ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন সরদার (মকবুল) চম্পাখালি মৌজাধিন (সাবেক ২১৯ নং) হাল ৪২৫ নং খতিয়ানে, (সাবেক ৭০/৭২১) হাল ৬৩৮ দাগে কোবলা রেজিঃ মূলে ১০শতাংশ জমি স্থানীয় মৃতঃ আমিন উদ্দীন গাজীর স্ত্রী আয়ফুল বিবির নিকট থেকে ক্রয় করেন। জমি পৃথক সীমানা নির্দ্ধারিত থাকলেও আস্তে আস্তে সেটি বেদখল হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ ৫৩ বছর পর ৩১/০৫/২০২২ শে বর্তমান চেয়ারম্যান জগদীশ সানার জোর তৎপরতায় সর্বস্তরের জনগণ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় জমি উদ্ধার করে সেখানে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে বালু ভরাট করে, ভবন তৈরি করে (নির্মাণাধীন) পরিষদের চাউল বিতরণ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
উক্ত তপশীল বর্নিত সম্পত্তি মাঠ জরিপে ৪২৫ নং খতিয়ানে হাল দাগ ৬৩৮। দাখিলা ও চেক ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের নামে পরিশোধ করা হয়েছে।
সরকারী সম্পত্তি তথা ইউনিয়ন পরিষদের নামীয় জায়গার আঞ্চলিক কার্যালয় যাহাতে আর কেউ অবৈধ্য দখলের চেষ্টা না করে সেজন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অত্র ইউনিয়ন বাসী।