আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের ৫ গ্রামের মানুষ একটি স্লুইস গেটের পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতায় জিম্মি হয়ে পড়েছে। এলাকার প্রায় ২০০০ বিঘা জমির আমন ধানের বীজতলা দু’-দু’বার নষ্ট হয়ে গেছে।
বাইনবসত স্লুইস গেট পুনরায় নির্মানের সময় নদীর পার্শে মাটির বাঁধ দিয়ে নদীর পানি রোধ করা হয়। গেট নির্মানের পর বাঁধ কাটা হলেও সস্পুর্ণ ভাবে কাটা না হওয়ায় গেটের পানি পুরোপুরি ভাবে বের হতে পারছেনা। এই স্লুইস গেট দিয়ে বাহাদুরপুর, কচুয়া, পুরোহিতপুর, দাঁদপুর, আগরদাড়ীসহ এলাকার অন্যান্য গ্রাম ও বিলের (মৌজা) পানি নিস্কাশন হয়ে থাকে। গেটের মুখের বাঁধ অপসারন না করার কারনে বিলগুলোর পানি নদীতে নামতে পারছেনা। ফলে এলাকার খাল, বিল, ধানের বীজ তলা, ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে গেছে। কৃষকরা বৃষ্টির শুরুতে প্রথমবার বীজতলা দিলেও পানিতে নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় দফায় বীজতলায় বীজধান ফেলেন। কিন্তু না এবারও পানিতে তলিয়ে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা গেছে। এলাকার কৃষকদের মাথায় হাত উঠেগেছে। বাধ্য হয়ে এলাকার কৃষকরা বাঁধ কাটার জন্য শুক্রবার বাঁধের স্থানে গিয়েছিল। কিন্তু বাঁধ বড় হওয়ায় তাদের পক্ষে বাঁধ অপসারন সম্ভব হয়নি। বাঁধটি কাটার জন্য এস্কেভেটর ব্যবহারের দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় গোপাল ঘোষ, রামপদ ঘোষ, দেবব্রত ঘোষ জানান, টানা বৃষ্টিপাতের পানি গেট দিয়ে সরতে না পারায় পরপর দুইবার আমাদের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সাথে কথা বললে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও এর সাথে কথা বলতে বলেন এবং তিনিও নিজে এসওকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে জানান।