আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনির পল্লীতে ঘেরের কর্মচারীকে মারপিট করে জমি দখলের চেষ্টা ও ভূমি কর্মকর্তা বিরুদ্ধে আদালতের রায় অবমাননার অভিযোগ।
আজ ১৫ জুন ২০২৫ রোজ রোববার সকালে আশাশুনি প্রেসক্লাবে আইনি প্রতিকার প্রার্থনা করে সংবাদ সম্মেলন করেন আশাশুনি সদরের কোদণ্ডা গ্রামের রহমত আলী।
তিনি লিখিত ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, কোদণ্ডা মৌজায় সরকারি খাস খতিয়ানের ৫৬৭ দাগের মোট ৮.২৫ একর জমির মধ্যে ২.২০ একর জমি সহ বিভিন্ন দাগে মোট ৫.২৫ একর জমি সাতক্ষীরা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতের ৬৭৪/২০২০ নং মামলায় ০৩ এপ্রিল’২৩ তারিখের আদেশ মূলে আমি রায় ও ডিক্রি প্রাপ্ত হয়েছি।
সরকার পক্ষ রায়ের বিপরীতে সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে ৫৬/২০২৪ নং আপীল কেস দায়ের করেন। ২১ অক্টোবর’২৪ তারিখের শুনানীতে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। সেই থেকে আমি আমার জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে মাছ চাষ করে আসছি।
চলতি বাংলা সনে আশাশুনি সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে মোট ১১.৮২ একর জমি ইজারা প্রদান করেন। যার মধ্যে ৪১১, ৪১৯ ও ৫৬৭ দাগের ডিক্রি প্রাপ্ত জমি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইজারা প্রদানের পূর্বে ১৭ ফেব্রুয়ারী’২৫ তারিখে আমার জমি ইজারাকৃত জমির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না করতে লিখিত অনুরোধ করলেও তিনি তা ভ্রুক্ষেপ না করে অজ্ঞাত কারনে আদালতের রায় অবমাননা করেছেন।
এর পরেও ইজারা প্রদান করা জমি ও আমার ডিক্রি প্রাপ্ত জমির সীমানা নির্ধারণ করতে উপজেলা ভূমি কর্কর্তা বরাবর আবেদন করেছি। তিনি দশ কার্য দিবসের মধ্যে মাপ জরীপ করা হবে বলে ২১ এপ্রিল নোটিশ জারি করলেও অদ্যাবধি মাপ জরীপ করা হয়নি। ফলে সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়।
যার প্রেক্ষিতে ১৪ জুন রাতে প্রতিপক্ষের হয়ে আদালতপুর গ্রামের নজির উদ্দিন শেখ ও আনার শেখের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন দলবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ওই জমি দখলে যায়।
এ সময় ঘেরের কর্মচারী পলাশ ও শিমুল কে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে শিমুল পালিয়ে গেলেও পলাশকে পিটিয়ে তারা ঘেরের পাশে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।
বিষয়টি আমরা থানা পুলিশে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পলাশকে উদ্ধার করে। বর্তমানে পলাশ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলা না করতে এবং জমিতে না যেতে নজির উদ্দিন ও তার লোকজন প্রকাশ্যে হুমকি দিতে থাকায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সরকারি ও ডিক্রি প্রাপ্ত জমি সঠিকভাবে মাপ জরীপের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে জটিলতা নিরসনের দাবি জানানোর পাশাপাশি ঘেরের কর্মচারীর উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জমির মালিক রহমত আলী।