Monday, November 17, 2025

আশাশুনির গোদাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধ তদন্তে এসি ল্যান্ড

Must read

 

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধ ঘটনা তদন্ত করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ। আজ ০৬ নভেম্বর ২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার বিকালে উত্তর গোদাড়ায় সরেজমিন তদন্ত করা হয়।
বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরায় মোঃ রসুল পাড় প্রথম পক্ষ হয়ে ১৪৫ ধারামতে প্রতিকার প্রার্থনা করে দাবী করেন, গোঁদাড়া মৌজার এসএ ১০১ খতিয়ানে ১.৩৮ একর সম্পত্তি হতে সৃষ্ট বিআরএস ৩৩৩ ও ৫৯৫ খতিয়ানের রেকর্ড সংশোধনের জন্য বিজ্ঞ, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, সাতক্ষীরাতে এলএসটি ১০১৫/১৭ নং মোকদ্দমা করলে বিজ্ঞ আদালত দো-তরফা সূত্রে বাদীপক্ষের অনুকুলে গত ২৬/৬/২২ তাং রায় ও ৩০/০৬/২২ তাং ডিক্রী প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালত ১৩/০৮/২৩ তাং ৯৫০ নং স্মারকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) আশাশুনি ও জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরাকে বিআরএস ৩৩৩ খতিয়ানের মালিকের নাম ও ঠিকানা কর্তন করে তদস্থলে বাদীগনের নাম ও ঠিকানা সন্নিবেশন করে এবং ৫৯৫ খতিয়ানের ২২২৯ দাগ হতে ০.১৭ একর জমি বাদীগনের নামে রেকর্ড প্রদান করে খতিয়ান সংশোধনের নির্দেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মোতাবেক জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনি আদালত M/C-707 (IX-1)/২০২৩-২৪ নং নামপত্তন কেসের রায় মোতাবেক বিআরএস ৩৩৩ খতিয়ান হতে ০.৫০ একর ও ৫৯৫ খতিয়ান হতে ০.১৭ একর মোট ২টি খারিজ ০.৬৭ একর ভূমি ৯১৬ নং খারিজ খতিয়ানে রেকর্ড প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৯৩৫ নং হোল্ডিং খুলে বাংলা ১৪৩১ সন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখলিকার হয়েন ও আছেন। দ্বিতীয় পক্ষ জমি জবর দখল করার পায়তারা করছে এবং গত ২০ মে বেলা ১১ টার সময় দ্বিতীয় পক্ষের রুহুল আমিন, পারভেজ, মিজানুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, আকরাম গাজী, জাকির হোসেন, সাইদ পাড়, আনিচ পাড়, মোস্তাফিজুর রহমান, মশিউর রহমান জমিতে অবৈধ প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধোর করিতে উদ্দ্যত হয়। প্রথম পক্ষের চিৎকারে কতক স্বাক্ষী গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। তারা আস্ফালন করে বলে এ যাত্রায় প্রাণে বােচে গেলি, সুযোগ পেলে জমি দখল করে ঘরবাড়ী নির্মাণ করবো, তোদের যেখানে পাব মান অপমান করবসহ বিভিন্ন হুমকী প্রদর্শন করে চলে যায়।
আজ ০৭ নভেম্বর ২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার তদন্তকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) উভয় পক্ষ ও স্থানীয় মানুষের কথা শোনেন, বসবাসকারীদের ঘরবাড়ি, ঘেরাবেড়া, প্রাচীর, গাছগাছালি প্রত্যক্ষ করেন। দেখাযায় এসএ ১০১ খতিয়ানে হাল ২২২৯ দাগে বাদী পক্ষের ঘরবাড়ি ও স্থাপনা রয়েছে। জমি নিয়ে মহামান্য হাই কোর্টে মামলা চলমান থাকায় এসি ল্যান্ড সাহেব সকলকে স্বস্ব স্থানে শান্তি বজায় রেখে থাকার কথা বলেন এবং মহামান্য হাই কোর্টের রায় হলে রায় মেনে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে বলেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, তদন্ত করা হয়েছে। যথা সময়ে বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রেরন করা হবে।

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article