Sunday, September 8, 2024

আশাশুনির কুল্যা টু দরগাহপুর সড়কের বেহাল দশা

Must read

 

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) পতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা টু বাঁকা (দরগাহপুর) সড়কের কাদাকাটি বাজার থেকে কাদাকাটি পুরাতন বাজার পর্যন্ত এক কিলো মিটার রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সড়কে যাতয়াতকারী যাত্রী সাধারণের।
অভিযোগ রয়েছে, সড়কটির নির্মাণ কাজে ধীর গতির কারনে সড়কের অনেকস্থানে নতুন করে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতেকরে প্রায়ই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের কারণে বৃষ্টি হলেই পানি জমে গর্তগুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে সাতক্ষীরা জেলা সদরের যোগাযোগের একমাত্র বাইপাস সড়ক হিসেবে ওই সড়কই এক সময় বেশি ব্যবহৃত হত। আশাশুনি উপজেলার মানুষসহ আশাশুনির সীমান্ত এলাকা তালা, পাইকগাছা, কয়রা ও আশাশুনির দক্ষিণ অঞ্চলের ইউনিয়ন গুলোর হাজার হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এই সড়কটি। এলাকার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন দর্গাপুর কলেজে যাওয়া আসা করে। কিন্তু বছর খানেক ধরে সড়কের বেশীর ভাগ অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজে পড়ূয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে যেন পুকুরে পরিনত হয়ে থাকে। সড়কটির খানা খন্দকের কারনে সড়কে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অনেক প্রাণহানীসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদেরকে। এ ছাড়া সড়কে দ্রুতগামী যানবাহনগুলো একটি অপরের ওভারট্যাকিং করতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। এজন্য সড়কে যানচলাচল আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে।
দরগাহপুর কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আসমা জান্নাত মনি এ প্রতিবেদককে জানায়, “আমরা প্রায় ২/৩কিঃমিঃ পথ পায়ে হেঠে কলেজে যাই। কারণ আমারে চলাচলের প্রধান এই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যে যেখানে ২০/৩০ মিনিটে কলেজে পৌছার কথা সেখানে লেগে যায় ১ ঘন্টারও বেশি সময়। সড়কের দশা বেহাল হওয়ায় আগের মতো দ্রুত গাড়ী পাওয়া যায়না। অপেক্ষা করে সময় নষ্ট না করে আমরা পায়ে হেটেই কলেজে যাচ্ছি। হেটে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে যাই। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়তে হয় পরীক্ষার সময়। কারণ নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হওয়া অনেক কষ্টসাধ্য। তাই যতাযত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।”
স্কুলে যাতায়াতের প্রধান সমস্যা কি এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাদাকাটি আর আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা আক্তার মুক্তা জানায়, “ভাই কি আর বলবো স্কুলে যাওয়ার মূল সমস্যা এই সড়কটি। সড়কের অবস্থা এত খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন স্কুলে যেতে মন চায়না। এখন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টির কারনে গর্তে ময়লা জমে থাকে। ফলে ভাল জামা পড়ে গেলেও রাস্তার কাদায় নোংরা হয়ে যায়। সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article