আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামে সাইকেল মেকানিক অনিমেষ হত্যা ঘটনায় অহিদ মল্লিক ও মালেক মল্লিককে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের মা শেফালী রানী সরকার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮, তাং ২৫/০১/২৫।
মামলা সূত্রে ও বাদী জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অনিমেষ সাইকেল মেরামতের কাজ করতো। জমিজমার বিরোধে ২১ জানুয়ারী সকাল ১০.৩০ টার দিকে প্রতিবেশী অহিদ মল্লিক ও মালেক মল্লিক বাদীর পুত্র অনিমেষকে মাপ চাইতে বাধ্য করে ও মারধর করে। মারপিটের বিচার চাইলে জীবন নাশের হুমকি দেয়। বাদীর ধারনা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারা অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এবং ইমদাদুল মোল্যার সবজি ক্ষেতে নিম গাছে কৌশলে গলায় রশি দিয়ে পেচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঝুলিয়ে রাখে। পুলিশ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক মালেক মল্লিক, আঃ খালেক মোল্যার ছেলে বাবলু আক্তার মোল্যা ও আঃ রাজ্জাক সরদারের ছেলে চা দোকানদার জিল্লুর রহমানকে আটক করেন।
নিহতের পিতা নিরঞ্জন কুমার সরকার জানান, সন্তান হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। কিছু প্রতিবেশী ও রফিকুজ্জামান ছট্টু আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে। ছট্টুকে জড়িয়ে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এতিম শিশুদের নিয়ে দয়া করে কেউ রাজনীতি করবেননা। নিহতের স্ত্রী সঞ্জিতা সরকার জানান, স্বামী হারা হয়ে দুটি অবুঝ শিশুকে নিয়ে আমরা দিশেহারা। হত্যাকারীদের আমরা ফাঁসি চাই। ছট্টু ভাইসহ যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদেরকে দূরে ঠেলে দিয়ে আমাদেরকে একা করে দিতে মিথ্যা অভিযোগ ও সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
রফিকুজ্জামান ছট্টু জানান, ঘটনার পরদিন জানতে পারি লাশ পাওয়া গেছে। সেই থেকে তাদের পাশে দাড়িয়ে সহযোগিতা করে আসছি। তাদেরকে বলেছি কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে জানালে পাশে থাকবো। আমাকে নিয়ে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে ওদের পাশ থেকে সরাতে চেষ্টা করছে। আমরা ন্যায়ের পক্ষে আছি ও থাকবো।