Friday, August 1, 2025

আশাশুনিতে কাকলী হত্যা মামলায় আসামীর নাম অন্তুর্ভুক্তির দাবী

Must read

 

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনির প্রতাপনগরে কাকলী আক্তার মেরী হত্যা মামলায় তাদের অজ্ঞাতে বাদ দেয়া দুই আসামীর নাম অন্তর্ভুক্তি ও দালাল ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবী জানিয়েছেন, নিহতের মা রেশমা খাতুন ও নানী সুফিয়া খাতুন। আজ ৩১ জুলাই ২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার সকালে আশাশুনিতে সাংবাদিকদের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে এ দাবী জানান।
কাকলীর মা প্রতাপনগর গ্রামের রেশমা খাতুন জানান, আমার স্বামী ৩ বছর আমাদের খেতে দেয়না, তখন পরের বাড়িতে শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম। ছোট্ট ছেলেও কাজ করতো। মেয়ে স্কুলে যেত। এক পর্যায়ে আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেই। কাকলীর আমার ননদের ছেলের সাথে সম্পর্ক হয়। আমি বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। গত একমাস পূর্বে কাকলীকে অন্যত্র বিয়ে দেয়া হয়। এতে কাজল ক্ষিপ্ত হয়ে কাকলীকে জোর পূর্বক নিজের বাড়িতে নিয়ে জিম্মী করে রাখে। বিয়ের ১৫ দিন পর গত ৮ জুলাই ভীতি প্রদর্শন করে কাকলীকে তার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। ২৩ জুলাই বিকালে কাজল ও রওশনারা সহযোগিদের সহযোগিতায় কাকলীকে মারপিট ও হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচার দেয়। আবু ইয়াহিয়া থানায় কেস করতে খরচের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও ৪ আসামীর দুজনকে বাদ দিয়ে দু’ জনের নামে মামলা করিয়েছে, যা আমরা জানতাম না।
ভিকটিমের নানী সুফিয়া খাতুন বলেন, নাতনীকে হত্যা করা হলে আমরা লাশ নিয়ে থানায় আসার সময় আবু ইয়াহিয়া আমাদের সাথে এসে মামলার ব্যাপারে যোগাযোগ করে। ৪ জনের নাম দেই, পরদিন বাড়িতে এসে ১০ হাজার টাকা দাবী করে। আমরা কষ্টকরে ৭ হাজার টাকা যোগাড় করে দেই। পরে জানতে পারি আসামীদের থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে মতি গাজী ও শাহিনের নাম বাদ দিয়ে থানায় মামলার করিয়েছে। আমরা এই অন্যায়ের বিচার চাই। সকল আসামীর নাম অন্তর্ভুক্ত করে বিচার দাবী করছি। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইয়াহিয়া আমাদের টাকা ফেরৎ দিতে আসে। আমরা টাকা নিয়ে কি করবো? আমরা বাদ দেয়া আসামীদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। আর দালাল আবু ইয়াহিয়ার শাস্তি চাই।

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article