Friday, June 27, 2025

নির্বাচন: সরকারকে ‘যৌক্তিক’ সময় দেওয়ার কথা বললেন জামায়াত আমির

Must read

দক্ষিন বাংলা ডেস্ক : জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাস ও ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘যৌক্তিক’ সময় দেওয়ার কথা বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার ঢাকার মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিস শুরার অধিবেশনে তিনি একথা বলেন।কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার এই বৈঠকের মূল মঞ্চে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মজিবুর রহমান, আবদুল্লাহ মো. তাহের, এমএম শামসুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।সারা দেশ থেকে মজলিশে শুরার সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘যে যুব সমাজের মাধ্যমে দেশে পরিবর্তন এসেছে, তাদের সবাইকে অবশ্যই এবার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। এর জন্য যৌক্তিক যে সময় লাগবে সেটা অবশ্যই সরকারকে… আমরা বিলম্বিত বা দীর্ঘায়িত সময় নয়… যৌক্তিক সময়টাই দিতে চাই।’
তবে দলের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতার ‍মুখে ভিন্ন কথা।গত ২৯ নভেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের এক অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমি বর্তমান উপদেষ্টা সরকারকে বলব- আপনারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংস্কার কাজ শেষ করে তারপরে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। এটা যদি না হয়, তাহলে এ নির্বাচন তো নির্বাচন হবে না।
কিন্তু নায়েবে আমিরের বক্তব্যের দুই সপ্তাহের মাথায় জামায়াত আমির অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘যৌক্তিক’ সময় দেওয়ার কথা বললেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম মৌলিক দুটি বিষয়, অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত। একটি হচ্ছে- রাষ্ট্রের সব প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।দ্বিতীয়টি হচ্ছে- অতীতের সরকার জুলুম করে বহু জায়গায় তৎকালীন বিরোধী দলে যারা ছিলেন তাদের এলাকাগুলোকে টার্গেট করে আসন সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে, আসন বিন্যাসের নামে জুলুম করেছে। এগুলোকে পুনর্বিন্যাস করা লাগবে বিবেক এবং বাস্তবতার আলোকে।’
তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় সবাই একমত হবেন, (আওয়ামী লীগের সময়ে) গত তিনটি নির্বাচনে ভোট বর্জন… ভোট না হওয়ার কারণে এদেশের মানুষ ভোটের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। অসংখ্য তরুণ-তরুণীর বয়স হয়েছে ভোট দেওয়ার, কিন্তু ভোটার হওয়ার আগ্রহই তারা অন্তরে ধারণ করত না।পাশাপাশি এবারের এই যুদ্ধটা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে শুধু দেশবাসী করে নাই, প্রবাসে আমাদের যে সমস্ত নাগরিকরা আছেন, তারা সবাই একসঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদেরকেও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
শফিকুর রহমান বলেন, প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে দূতাবাসের মাধ্যমে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য একজন নাগরিকের দেশে আসার প্রয়োজন নেই। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এখানে থেকেই তা সম্ভব। আমরা এও দাবি জানাই, তাদেরকে (প্রবাসীদের) যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়।

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article