আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরাজিত প্যানেলের অনিয়ম, দুর্নীতি, মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা ও স্মারক লিপির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ০২ নভেম্বর ২০২৪ রোজ শনিবার দুপুরে নির্বাচিত চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
সংগঠনটির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে ‘আইনানুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ অনুযায়ী নির্বাচন থেকে শুরু করে সংগঠনের সকল কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করছি। চেম্বারের বিগত কমিটির পরাজিত প্যানেল হয়রানি করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সকল সদস্যদের অংগ্রহণে গত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত এক প্রার্থী দীর্ঘদিন পর গত ১৯ জুলাই হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেছেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেনে। যা চেম্বারের সংবিধান বহি:র্ভুত।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন আরো বলেন, আগের কমিটি লাখ লাখ টাকার কোনো হিসাব দেয়নি। প্রতি মাসে মাসিক মিটিং করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা সেসব করেনি। কারণ, মাসিক মিটিংয়ে প্রতিমাসের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হয়। পেশী শক্তির জোরে দীর্ঘদিন নির্বাচন না দিয়ে তারা লুটপাট চালিয়েছে এছাড়াও বিগত কমিটি ২০১৫-১৬ বছরে চেম্বারের আয় থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে বাণিজ্য মেলার রয়্যালটি বাবদ গৃহিত সর্বমোট ১ কোটি ৫ লাখ টাকার পৃথক দুটি চুক্তি হয়। কিন্তু আয়ের হিসাবে দেখানো হয়েছে মাত্র ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। বাকি ৭০ লাখ ১২ হাজার টাকার কোনো হদিস নেই। বর্তমানে নির্বাচনে পরাজিত প্যানেলের পরাজিত প্রার্থীরা এ সব কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিজয়ী প্যানেলকে হয়রানি করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা দোকান মালিক সমিতির আহবায়ক আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্সের কনিষ্ঠ সহসভাপতি মো. বকুল বাশার, চেম্বারের পরিচালক মোস্তাকিম মনির, আলমগীর হোসেন আলম, এম এ সামাদ, এএসএম এনায়েত উল্লাহ (নয়ন), মো. মানিক মিয়া।
